Header Ads Widget

৩৬ জুলাই!

 ৩৬ জুলাই!

আমরা কম-বেশি সবাই জানি এবং মেনে নিয়েছি এই বিশেষ দিনটাকে, এই সময়কে। ☝
এটা কেবল ২০২৪ সালে সম্ভব হয়েছে। 👏
কারণ এই সময়টা আমাদের পরিচিত সেই জেনারেশন Z-এর। এই জেনারেশন Z অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়ে দিয়েছে শুধু আমাদের জাতিকে নয়, পুরো বিশ্বকে।

এই সব সম্ভবের কারিগর জেনারেশন Z, ৫ আগস্টের পর পুরো শহরকে নতুন রূপে সাজিয়ে তুলেছে। তারা তাদের সৃষ্টিশীলতা আর মনের মাধুরী দিয়ে রঙিন করে তুলেছে শহরের প্রতিটি কোণ। যেখানে আগে ময়লা আবর্জনায় দুর্গন্ধ ছড়াতো, সেখানে আজ মানুষ থমকে দাঁড়ায়, অবাক হয়ে দেখে কীভাবে এই কোমল হাতে তারা সবকিছু বদলে ফেলেছে।

শুধু কি তাই? যে কলেজপড়ুয়া মেয়েটা বাসায় এক গ্লাস পানি ঢেলে খেতে চায় না, সে আজ শহরের রাজপথে ঝাড়ু হাতে নিয়েছে, জাতির জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করছে। যে ছেলে কখনও নিজের ঘর পরিস্কার করতে আগ্রহী ছিল না, সে আজ শহরের প্রতিটি কোণা পরিচ্ছন্ন করে নতুন করে পরিচ্ছন্নতার সংজ্ঞা তৈরি করছে।

জেনারেশন Z শুধু নিজেরাই পরিবর্তন আনছে না, তারা পুরো সমাজকে শেখাচ্ছে যে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বড় পরিবর্তন সম্ভব। তাদের উদ্যম, সাহস, এবং সৃজনশীলতা এমন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যা আগের প্রজন্মের কল্পনারও বাইরে ছিল। তারা দেখিয়ে দিয়েছে, কোনো সমস্যাই এত বড় নয় যে তার সমাধান করা সম্ভব নয়।

শহরের বয়স্করাও তাদের এ উদ্যোগ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে আসছে। যারা একসময় ভেবেছিল, "এতে আমার কি?", তারাও এখন বুঝতে পারছে যে এমন উদ্যোগে সবাইকেই অংশ নিতে হবে। এই তরুণদের প্রচেষ্টা প্রমাণ করেছে যে তারা শুধু নিজেদের ভবিষ্যৎ নয়, পুরো জাতির ভবিষ্যৎও গড়ে তুলছে।

এখন আর শহরের মানুষ কেবল বসে থেকে দেখতে চায় না; তারা নিজেরাই এই পরিবর্তনের অংশ হতে চায়। জেনারেশন Z এই সমাজকে নতুন দিশা দেখিয়ে দিয়েছে—শক্তি, সংহতি, এবং সদিচ্ছার মাধ্যমে কীভাবে একটি জাতি গড়া যায়।

তাদের এই উদ্যোগ কেবল শহর পরিচ্ছন্নতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। তারা সমাজের নানা অনাচার, অন্যায়, এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তারা অবিচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে, যেন অন্যদের জন্যও একটি ন্যায়ভিত্তিক, সুস্থ, ও সমানাধিকারের পরিবেশ তৈরি হয়।

জেনারেশন Z বুঝতে পেরেছে, একটি সমাজকে বদলাতে হলে কেবল বাহ্যিক পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা যথেষ্ট নয়; মনের ভেতরকার ময়লাও দূর করতে হবে। সেই লক্ষ্যে তারা সমাজে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের পুনর্নির্মাণে কাজ করছে। তাদের আন্দোলন কেবল পরিবেশগত সচেতনতা বা সামাজিক দায়বদ্ধতার জন্য নয়, বরং সঠিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা, এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রতিষ্ঠার জন্য।

তারা প্রতিদিন তাদের শ্রম দিয়ে যেমন আশার বীজ বুনছে, তেমনি সমাজের প্রতিটি স্তরে নতুন আলো জ্বালাচ্ছে। তারা প্রমাণ করে দিচ্ছে—যদি আমরা চাই, আমরা সবাই মিলে এমন এক পৃথিবী গড়তে পারি, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না, যেখানে মানুষ মানুষকে সম্মান করবে এবং যেখানে সবাই সমান অধিকারের অধিকারী হবে।

তারা আর কেবল শিক্ষার্থী নয়; তারা জাতির ভবিষ্যৎ রূপকার। তাদের চোখে রয়েছে নতুন দিনের স্বপ্ন, হাতে রয়েছে কাজের অদম্য শক্তি, এবং হৃদয়ে রয়েছে পরিবর্তনের দীপ্তি। তারা পুরোনো ধ্যান-ধারণা ও বাঁধাধরা শৃঙ্খল ছিঁড়ে ফেলেছে এবং প্রমাণ করেছে যে পরিবর্তন সম্ভব—যদি ইচ্ছাশক্তি এবং ঐক্য থাকে।

এই তরুণদের মধ্যে আমরা কেবল আমাদের ভবিষ্যৎই দেখতে পাচ্ছি না, তাদের মধ্য দিয়ে নতুন এক সমাজের সম্ভাবনাও দেখতে পাচ্ছি। এক নতুন ভোরের সূচনা হয়েছে, যেখানে তারা পথ দেখাবে এবং আমরা, বাকি সবাই, তাদের নেতৃত্বে পরিবর্তনের অংশ হবো।💞💞💞




Post a Comment

0 Comments