বর্তমান সময়ে
স্কুল
এবং
কলেজের
ছাত্রছাত্রীরা অনেক
সময়
এমন
কাজে
জড়িয়ে
পড়ে,
যা
তাদের
উজ্জ্বল ভবিষ্যৎকে অন্ধকারের দিকে
নিয়ে যায়। বিশেষ
করে,
অহরহ
প্রেমে
জড়ানো
এবং
অনৈতিক
কাজে
নিজেকে
যুক্ত
করার
প্রবণতা একটি
মারাত্মক সামাজিক সমস্যা
হয়ে
দাঁড়িয়েছে। অভিভাবকরা যদিও
মনে
করেন
যে
তাদের
সন্তান
খুবই
ভালো
এবং
সুশৃঙ্খল, কিন্তু
বাস্তবতা অনেক
ক্ষেত্রেই ভিন্ন।
এই
ধরণের
সম্পর্ক এবং
কাজের
মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের
পড়াশোনা, মনোবল
এবং
নৈতিক
মূল্যবোধকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে।
প্রেমের নেশা এবং এর পরিণতি
স্কুল
এবং
কলেজের
জীবন
হলো
শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই
সময়টাতে ছাত্রছাত্রীদের উচিত
নিজেদের ক্যারিয়ার গঠনের
দিকে
মনোযোগ
দেওয়া।
কিন্তু
অনেক
সময়
অল্প
বয়সের
প্রেমের আকর্ষণে তারা
ভুল
পথে
পা
বাড়ায়।
শুরুতে
প্রেম
একটি
নির্দোষ বিষয়
মনে
হলেও,
যখন
এটি
মাত্রাতিরিক্ত হয়ে
যায়,
তখনই
সমস্যার শুরু
হয়।
অবৈধ
সম্পর্ক এবং
শারীরিক মেলামেশা তাদের
নৈতিকতা এবং
ব্যক্তিত্বের ক্ষতি
করে।
এ
ধরনের
কাজের
কারণে
তারা
পড়াশোনায় মনোযোগ
দিতে
পারে
না,
এবং
মানসিক
অস্থিরতায় ভুগতে
থাকে।
ধীরে
ধীরে
তারা
নিজেদের মূল্যবোধ এবং
লক্ষ্য
হারিয়ে
ফেলে,
যা
তাদের
ভবিষ্যৎ নষ্টের
পথে
নিয়ে
যায়।
অপরাধমূলক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত হওয়া
কিছু
কিছু
ক্ষেত্রে, নিজেদের সুরক্ষার জন্য
মিথ্যা
কথা
বলে
বাবা-মাকে ঠকানোর চেষ্টা
করে।
কিন্তু
এর
ফলাফল
অনেক
সময়
চরমে
পৌঁছায়,
যখন
এই
সম্পর্কের ফলে
মেয়েরা
অবৈধ
গর্ভধারণের মতো
জটিল
সমস্যায় পড়ে।
তখন
তারা
নিজেদের ভুল
বুঝলেও
অনেক
সময়
ক্ষতি
অপূরণীয় হয়ে
যায়।
এছাড়াও, অবৈধ সম্পর্কের কারণে অনেক শিক্ষার্থী ব্ল্যাকমেইলিং, সাইবার ক্রাইম বা অন্যান্য অপরাধমূলক
কাজের শিকার হয়। মনের দুর্বলতার কারণে তারা অপরাধীদের ফাঁদে পড়ে, এবং নিজেদের জীবনকে চরম বিপদের মুখে ফেলে।
অভিভাবকদের করণীয়
অভিভাবকরা অনেক
সময়
ভাবেন
তাদের
সন্তান
খুবই
সুশৃঙ্খল এবং
নিষ্পাপ। তারা
মনে
করেন,
তাদের
সন্তান
কখনোই
খারাপ
কাজে
যুক্ত
হতে
পারে
না।
কিন্তু
এই
ধারণাটি অনেক
ক্ষেত্রেই ভুল।
অভিভাবকদের উচিত
সন্তানদের প্রতি
যত্নশীল হওয়া,
তাদের
সাথে
খোলামেলা আলাপ
করা
এবং
তাদের
বন্ধু
হয়ে
ওঠা।
সন্তানদের মানসিক
ও
শারীরিক বিকাশে
সাহায্য করতে
হলে,
তাদের
সঠিক
শিক্ষা
ও
নৈতিক
মূল্যবোধ দেওয়া
অত্যন্ত জরুরি।
সন্তানরা কোথায়
যাচ্ছে,
কার
সাথে
মেলামেশা করছে,
অনলাইনে কি
করছে—এ বিষয়ে সচেতন
থাকা
দরকার।
প্রযুক্তির যুগে
তারা
যেন
কোনো
অশ্লীল
বা
ক্ষতিকর কনটেন্টের শিকার
না
হয়,
সেদিকে
খেয়াল
রাখতে
হবে।
অভিভাবকদের দায়িত্ব হলো
সন্তানদের সঙ্গে
বন্ধুর
মতো
আচরণ
করা
এবং
তাদেরকে সঠিক
দিকনির্দেশনা দেওয়া,
যেন
তারা
নিজেদের ভুল
পথে
না
নেয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও শিক্ষার্থীদের মানসিক
ও
নৈতিক
উন্নয়নে কাজ
করতে
হবে।
শুধু
পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা
দিয়ে
ভালো
ছাত্র
বা
ছাত্রী
তৈরি
করা
সম্ভব
নয়।
তাদের
জীবনের
সঠিক
দিকনির্দেশনা দেওয়া
প্রয়োজন। নিয়মিত
কাউন্সেলিং, সেমিনার এবং
সামাজিক সচেতনতা বিষয়ক
কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নৈতিক
শিক্ষার দিকে
আগ্রহী
করতে
হবে।
ধর্মীয় মূল্যবোধের শিক্ষা_ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সঠিক দিকনির্দেশনা
বর্তমান যুগে
যখন
সামাজিক এবং
নৈতিক
অবক্ষয়ের মাত্রা
ক্রমশ
বাড়ছে,
তখন
ধর্মীয়
মূল্যবোধের শিক্ষা
সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে
দাঁড়িয়েছে। আমাদের
জীবনের
প্রতিটি ক্ষেত্রে ধর্মীয়
মূল্যবোধের ভিত্তি
মজবুত
হলে
আমরা
সঠিক
ও
ভুলের
পার্থক্য সহজেই
বুঝতে
পারি।
স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জীবনে
ধর্মীয়
শিক্ষার অভাবই
তাদের
অনেক
ক্ষেত্রে বিপথে
পরিচালিত করছে।
ধর্মীয় মূল্যবোধ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ধর্মীয়
মূল্যবোধ আমাদের
নৈতিকতা, সততা
এবং
আদর্শিক মূল্যবোধের ভিত্তি
তৈরি
করে।
এটি
আমাদের
জীবনের
প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক
দিকনির্দেশনা প্রদান
করে
এবং
আমাদের
সামাজিক আচরণ,
দায়িত্ববোধ এবং
মানবিকতাকে মজবুত
করে।
যখন
আমরা
ধর্মীয়
মূল্যবোধের ওপর
ভিত্তি
করে
চলি,
তখন
আমরা
সহজেই
অনৈতিক
কাজ
থেকে
নিজেদের রক্ষা
করতে
পারি।
যে
সমাজে
ধর্মীয়
মূল্যবোধ সঠিকভাবে চর্চা
করা
হয়,
সেই
সমাজে
অপরাধমূলক কাজ,
নৈতিক
অবক্ষয়
এবং
সামাজিক সংকট
অনেক
কম
হয়।
ছাত্রছাত্রীদের যদি
ছোটবেলা থেকেই
ধর্মীয়
শিক্ষার মাধ্যমে সঠিক
দিকনির্দেশনা দেওয়া
হয়,
তবে
তারা
জীবনের
নানা
মোড়ে
সঠিক
সিদ্ধান্ত নিতে
সক্ষম
হবে।
ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব: ছাত্রছাত্রীদের বিপথগামিতা
স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের অনেক
ক্ষেত্রে দেখা
যায়,
তারা
অনৈতিক
কাজ
এবং
সম্পর্কের মধ্যে
জড়িয়ে
পড়ে,
যার
মূল
কারণ
হচ্ছে
ধর্মীয়
ও
নৈতিক
শিক্ষার অভাব।
যখন
একজন
শিক্ষার্থী সঠিক
ধর্মীয়
মূল্যবোধ থেকে
বিচ্যুত হয়,
তখন
সে
সহজেই
জীবনের
ভুল
পথে
পা
বাড়ায়।
এটি
শুধু
তার
নিজের
নয়,
তার
পরিবার
এবং
সমাজের
জন্যও
ক্ষতিকর।
ধর্মীয়
শিক্ষা
শুধু
মসজিদ,
মন্দির
বা
গির্জায় সীমাবদ্ধ নয়।
এটি
আমাদের
প্রতিদিনের জীবনের
অংশ
হওয়া
উচিত।
ধর্ম
আমাদের
শিখায়
কিভাবে
নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে
হয়,
কিভাবে
অপরের
প্রতি
সহানুভূতি দেখাতে
হয়,
এবং
কিভাবে
নৈতিকভাবে সঠিক
সিদ্ধান্ত নিতে
হয়।
যখন
শিক্ষার্থীরা ধর্মীয়
মূল্যবোধ থেকে
দূরে
সরে
যায়,
তখনই
তারা
অনৈতিক
সম্পর্ক এবং
অপরাধমূলক কাজের
প্রতি
আকৃষ্ট
হয়।
পরিবারে ধর্মীয় শিক্ষার ভূমিকা
অভিভাবকদের উচিত পরিবারে ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিবেশ তৈরি করা। প্রতিদিনের জীবনের প্রতিটি কাজের সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষা যুক্ত করা উচিত। নামাজ, উপাসনা, প্রার্থনা—এসবের মাধ্যমে সন্তানদের মধ্যে নৈতিকতা এবং সততার বীজ বপন করতে হবে। ধর্মীয় আলোচনা, কোরআন, গীতা, বাইবেল বা অন্য ধর্মীয়
গ্রন্থ থেকে শিক্ষণীয় বিষয় শেখানোর মাধ্যমে তাদের মানসিক গঠন মজবুত করা যায়। সন্তানদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া—এটাই পারে তাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয়
শিক্ষা
বা
নৈতিক
শিক্ষার অভাব
একটি
বড়
সমস্যা। ছাত্রছাত্রীদের নৈতিক
মূল্যবোধ গড়ে
তুলতে
ধর্মীয়
শিক্ষার গুরুত্ব শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা
উচিত।
শিক্ষকরা শুধু
পড়াশোনা বা
একাডেমিক শিক্ষা
দিয়ে
সীমাবদ্ধ না
থেকে,
শিক্ষার্থীদের নৈতিক
শিক্ষা
দিতে
পারে।
ধর্মীয়
মূল্যবোধের শিক্ষা
আমাদের
জীবনের
অন্যতম
ভিত্তি। এটি
ছাত্রছাত্রীদের সঠিক
পথের
দিশা
দেয়
এবং
তাদের
জীবনকে
সফল
ও
সমৃদ্ধ
করতে
সাহায্য করে।
বর্তমান সময়ে
যখন
সমাজে
নৈতিক
অবক্ষয়ের মাত্রা
বেড়ে
যাচ্ছে,
তখন
ধর্মীয়
মূল্যবোধের চর্চা
সবার
আগে
হওয়া
উচিত।
------------------শেষ
কথা-------------------
ধর্মীয় মূল্যবোধের শিক্ষা আমাদের জীবনের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করে। বর্তমান যুগে যখন তরুণ প্রজন্ম নানা অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে, তখন ধর্মীয় শিক্ষাই পারে তাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে। অভিভাবক, শিক্ষক এবং সমাজের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে, যেন তরুণ প্রজন্ম ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা
গ্রহণ করে এবং নিজেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।
সঠিক ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা শুধু ব্যক্তির নয়, সমাজেরও মঙ্গল বয়ে আনে। তাই, ধর্মীয় শিক্ষা আমাদের জীবন, সমাজ এবং পৃথিবীকে আরও সুন্দর ও সমৃদ্ধ করতে
একটি অপরিহার্য মাধ্যম।
ধর্মীয় শিক্ষা শুধু ধর্মীয় প্রার্থনালয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রতিদিনের
জীবনের সাথে যুক্ত করা উচিত। প্রতিটি কাজের মধ্যে নৈতিকতা, সততা এবং মানবিকতার গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এই শিক্ষার মাধ্যমে
একজন মানুষ নিজের ভুল থেকে শিখতে পারে এবং ভবিষ্যতে আরও সঠিক পথে চলতে পারে।
—এটাই পারে তাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে।
0 Comments